প্রেমে ভরসা ‘গুগল’, সুখেই চলছে তাদের দাম্পত্য জীবন টিবিটি টিবিটি আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯ | আপডেট: ৫:২৬:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯ আড়াই বছর আগে ইবিজার একটি নাইটক্লাবে ২৫ বছরের ম্যারিসকো’র সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ২৩ বছরের শেলয়ের। প্রথম দেখাতেই শেলয়কে ভালো লেগে যায় ম্যারিসকোর। মন গেয়ে উঠে ‘এক লাড়কি কো দেখা তো অ্যাসা লাগা’৷ কিন্তু এই ভালোবাসার মাঝে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের ভাষা।প্রেমের গাড়ি সিগন্যালও মানে না, ভাষাও বোঝে না। তা না হলে, কীভাবে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে রয়েছেন ব্রিটেনের শেলয় স্মিত ও ইটালির ড্যানিয়েল ম্যারিসকো। কারণ, তারা দু’জনে তো একে অপরের ভাষার মাথামুন্ডু বোঝেন না। তবে কীভাবে তারা একসঙ্গে রয়েছেন? সমস্যার সুরাহা করেছে ‘গুগল’। সফটওয়্যার ব্যবহার করেই চলছে তাদের দাম্পত্য জীবন।ইটালির একটি রেস্তরার কর্মী ম্যারিসকো কথা বলেন শুদ্ধ ইটালিয়ান ভাষায়। আর শেলয়ের ভাষা ইংরেজি। তারা কেউ কারো ভাষা বোঝেন না। কিন্তু দু’জন একে অপরকে অনেকটা ভালোবাসেন। কথাতেই আছে ‘ইচ্ছা থাকলেই, উপায় হয়’। ঠিক একটা যোগাযোগের নতুন মাধ্যম খুঁজে নেন এই যুগলও। ‘গুগল ট্রান্সলেটর’র মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন শেলয় ও ম্যারিসকো।তারা বলেন, প্রথমে অন্যরা আমাদের পাগল ভাবতো। তারা ভাবতো কয়েকদিনেই আমাদের সম্পর্ক ভেঙে যাবে। কিন্তু আমরা পরস্পরের সঙ্গে ও পরস্পরের জন্য বাঁচতে চাই।শেলয় বলেন, ম্যারিসকোর সঙ্গে পরিচয়ের এক সপ্তাহ পর থেকেই তার সঙ্গে বার্সেলোনায় এসে থাকতে শুরু করি। এটা আমার জীবনে নেওয়া সেরা সিদ্ধান্ত।তবে আড়াই বছর পর ‘গুগল ট্রান্সলেটর’এর উপর নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন শেলয় ও ম্যারিসকো। ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছেন পরস্পরের ‘প্রেমের ভাষা’৷ আরও পড়ুন বিজেপিকে আটকাতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : ব্রাত্য বসু জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের নাগরিকত্ব বাতিল করল ইকুয়েডর