বাবা আসামের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও বাদ পড়লো ছেলে টিবিটি টিবিটি নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০১৮ | আপডেট: ৫:৪০:পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০১৮ ভারতের আসামে নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে ১৯৫১ সাল থেকে নথিপত্র জমা দিতে হয়েছে রেজাউল ইসলামকে। তিনি একজন ভারতীয়, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কোনো অবৈধ অভিবাসী নন।কিন্তু গত জুলাইয়ে প্রকাশ করা খসড়া প্রস্তাবে তিনি ও তার মা বাদ পড়েছেন। নাগরিকত্বের নিবন্ধন থেকে বাদপড়া ৪০ লাখ ভারতীয়ের মধ্যে রেজাউল ইসলাম একজন।৩৩ বছর বয়সী রেজাউল ইসলাম বলেন, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে তিনি ও তার মায়ের কাছে অতিরিক্ত কোনো প্রমাণ নেই। যদিও তার বাবা ও আরও অনেকের নাম দেশটির জাতীয় নাগরিকত্ব নিবন্ধন(এনআরসি) তালিকায় এসেছে।-খবর রয়টার্সের।রেজাউল ইসলামের সঙ্গে ধুবুরি জেলায় বসে কথা হয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। তিনি বলেন, আমার বাবা যদি ভারতীয় নাগরিক হয়ে থাকেন, তবে আমি কোত্থেকে এসেছি? আমাদের আরও কী প্রমাণ দিতে হবে?পুরো আসামজুড়ে এমন যন্ত্রণা কয়েক লাখ বাসিন্দার। দেশটির হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাগরিকদের তালিকা তৈরির কাজ ত্বরান্বিত করার কাজ জোরদার করেছেন। তার অভিযোগ, অভিবাসীরা স্থানীয়দের চাকরি ও সম্পদ কেড়ে নিচ্ছেন।নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদপড়া অধিকাংশ লোক সংখ্যালঘু বাংলাভাষী মুসলমান। আর সংখ্যাগুরু হিন্দুরা অসমীয়া ভাষায় কথা বলেন।বাদপড়া এসব লোকজনের অক্ষর জ্ঞান নেই ও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। এদের মধ্যে কারও কারও শুধু বানান ভুলের কারণেও এনআরসির তালিকায় নাম ওঠেনি।দেশটির বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করছে, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি(বিজেপি) আসামের নাগরিকত্বের তালিকা থেকে মুসলমানদের নাম বাদ দিচ্ছে। আগামী মে মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটি হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের কাছে প্রশংসা কুড়াতেই এমনটা করছে।বিজেপির আসামের মুখপাত্র বিজন মহাজন বলেন, নাগরিকত্বের তালিকার এই উদ্যোগের পেছনে ধর্মীয় কোনো কারণ নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই তারা বিরোধীতা করছেন। আরও পড়ুন বিজেপিকে আটকাতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : ব্রাত্য বসু জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের নাগরিকত্ব বাতিল করল ইকুয়েডর