ব্রেন টিউমার আক্রান্ত মেয়েকে বাঁচাতে দিনমজুর বাবার আকুতি টিবিটি টিবিটি নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২১ | আপডেট: ১২:০২:অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২১ টাকার অভাবে মেধাবী শিক্ষার্থী শারমিনকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছে না তাঁর পরিবার। মেয়েকে বাঁচাতে দিনমজুর বাবা হালিম সমাজের বিভিন্ন জনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছেন এবং কাঁদছেন। তাঁর পরিবারের পক্ষে দু’মুঠো খেয়ে পরে বেঁচে থাকাই যেখানে কষ্টকর সেখানে মেয়েকে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো অসম্ভব।জানা গেছে, বরগুনার বেতাগী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দিনমজুর আব্দুল হালিমের পাঁচ সদস্যের পরিবার। কারো বাসায় কাজ করে, মাটির কাটা, ইট ভাঙা, রাজমিস্ত্রির জোগালি (সহযোগী) দেওয়া এসব করেই চলে তাঁর সংসার।কিছুদিন পূর্বে হালিমের মেয়ে ১০ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী শারমিনের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য কয়েক লাখ টাকা দরকার। যা কোন ভাবেই দিনমজুর হালিমের পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব নয় বলে এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানিয়েছেন।স্থানীয় সংবাদকর্মী সজল মাহমুদ জানায়, ‘পরিবারটি খুবই অসহায়। দু’মুঠো খেয়ে পরে বেঁচে থাকাই কষ্টকর। এরপর মেয়েকে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো হালিমের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব না। সমাজের বিত্তবানদের পরিবারটির পাশে সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত’।এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, টাকার অভাবে শারমিনের উন্নত চিকিৎসা অনিশ্চিত হওয়ার পথে।তিন ভাই বোনের মধ্যে শারমিন মেঝো। বড় ভাই বেতাগী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এছাড়া চার বছরের এক ছোট বোন রয়েছে। তাঁর মা কুলসুম বেগম গৃহিনী।এ বিষয় শারমিনের মা কুলসুম বেগম জানায়, ‘পুরো পাঁচ সদস্যের পরিবার চলে আমার স্বামীর সামান্য রোজগারে। এখন কেউ সাহায্যে না করলে মেয়ে শারমিনকে বাঁচানো যাবে না’।বাবা হালিম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘দিন আনি দিন খাই,কোনদিন কিছুই কামাই করতে পারি না। এমন সময় আল্লাহ বিপদ দেছে, কেমনে যে অপারেশন করাইয়া মাইয়াডারে বাঁচামু?’সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল মন্নান বলেন,’আমরা ইতোপূর্বেও তাকে সাহায্য করেছি। তবে তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিতভাবে সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার’। আরও পড়ুন শুটার টুম্পা আইসিইউতে, সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা বাঁচতে চায় শুভ, মানবিক সাহায্যে এগিয়ে আসুন