সংগ্রামের ভিত গড়ে না দিলে আ. লীগের কবর রচনা হতো: কাদের সিদ্দিকী টিবিটি টিবিটি নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৮ | আপডেট: ৪:১৩:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৮ টিবিটি রাজনীতিঃকৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা যদি পঁচাত্তরের আন্দোলন-সংগ্রামের ভিত গড়ে না দিতাম, তাহলে আওয়ামী লীগ কখনও ক্ষমতার স্বাদ পেতো না। এখন তাদের কবর রচনা হয়ে যেত। শুক্রবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘শোকই আমাদের শক্তি, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ সংগ্রাম’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ঘটনা হচ্ছে টাঙ্গাইল গিয়ে আমাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পরে ঐতিহাসিক ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অস্ত্র জমা নিয়েছিলেন। সময় পার হয়ে গেলে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যাই। মনে রাখতে চাই না। অনেক মানুষই আমাদের কথা মনে রাখে না।’জাসদ নেতা কর্নেল তাহেরকে কবর দেয়ার বিরুদ্ধাচারণ করে তিনি বলেন, ‘তার কেন কবর হলো, সে তো বঙ্গবন্ধু হত্যায় খুশি হয়ে ছিলো। তাকে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়া হলো না কেন? এখন তার দলের প্রধানকে, তার বউকে এমপি বানানো হয়েছে। তার ভাই আনোয়ারকে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির ভিসি বানানো হয়েছিল।’তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরে যারা আওয়ামী লীগ করেছে তারা যদি দলটিতে থাকতো তাহলে জননেত্রীর দেশ বিরোধীর কর্মকান্ড তাকে করতে দেয়া হত না। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে আর তা হলো সব মানুষ দিয়ে সব কিছু হয় না।কয়লা চুরির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বিশ্বে অনেক দেশে অনেক কিছুই চুরি হয় কিন্তু কয়লা চুরি হয় না। দিনাজপুরে কয়লা হাওয়া হয়ে গেছে। কয়লা চুরির তদন্ত নয় বিচার হওয়া উচিৎ। এদেশে আসলে কিছুর বিচার হয় না।’কলামিস্ট আবুল মকসুদ বঙ্গবন্ধুর হত্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ইতিহাসে এমন একটি বর্বরোচিত হত্যা হয়েছে সেটা পৃথিবীতে আর ঘটেনি। এটার প্রতিবাদ এত বছরের ক্ষমতাসীন দলটির কাছে তেমন দেখা যায় না। দেশে আজ যত মুক্তিযোদ্ধা দেখি তত মুক্তিযোদ্ধা পাঁচ বছর আগে দেখিনি। এখন অনেককে দেখি তারা মুক্তিযোদ্ধা, তার ছেলে-মেয়ে মুক্তিযোদ্ধা। আসল মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাওয়া মুশকিল।’সাবেক এমপি ও ডাকসুর ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ‘দেশে এখন এমন পর্যায় চলছে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে যারা আওয়ামী লীগের জন্য জীবন বাজি রেখেছিল, এমনকি যিনি আওয়ামী লীগকে পুনর্জন্ম দিয়েছিলেন, সেই জহুরা তাজউদ্দিনের নামও আজ কেউ নেয় না।’তিনি বলেন, ‘কাদের সিদ্দিকী একাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের কাছে টাইগার সিদ্দিকী ছিলেন। আজ ওনাকে দ্বিধাবিভক্ত করা হয়েছে। একাত্তরের ইতিহাস লিখতে হলে কাদের সিদ্দিকীর ইতিহাস লিখতেই হবে। তাকে বাদ দেয়া যাবে না। আজকে অনেকেই অবহেলিত। তখনকার নেত্রীর কাছের লোকজনই আজ অবহেলিত। সরকার যদি পঁচাত্তরের আন্দোলন সংগ্রাম কারীদের স্বীকৃতি দেন তাহলে তিনি অমর হবেন। আর যদি না দেন তাহলে অনেকের মত তাকেও ইতিহাস আস্তকুঁড়ে মারবে।’আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক লীগের সাধারণ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, সাবেক মন্ত্রী আবুল হাসান কায়সার চৌধুরী প্রমুখ। আলোচনা সভার শুরুতেই পঁচাত্তরের বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ সংগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের সম্মননা ব্যাচ পরিয়ে দেয়া হয়। আরও পড়ুন বড় ভাইয়ের দোয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পথে কাদের মির্জা জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে দুঃস্থদের মাঝে ছাত্রলীগের খাবার বিতরণ